মেহেরপুরের সড়কগুলো ইটভাটার কাদামাটিতে পথচারীদের দূর্ভোগ হওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি মেহেরপুর আমলী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে মামলার শুনানি মেহেরপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ এই আদেশ প্রদান করেন। আদেশে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তপূর্বক আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার, পিবিআই, কুষ্টিয়াকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই সাথে অবৈধ ইট ভাটার বিষয়ে উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়াকে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সংবাদে উল্লেখিত বিষয়টি সত্য হলে তা দণ্ডবিধির ধারা ২৯০, ৪৩১ সহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে উল্লেখ করে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন মর্মে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলায় ১০৩টি ইটভাটার অধিকাংশ অবৈধ এবং আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। যা দণ্ডবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কোনোরূপ ব্যর্থতা ব্যতিরেকে আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার, পিবিআই, কুষ্টিয়াকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।