মেহেরপুরে সদর উপজেলার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা গায়েব করেও হজম করতে পারলেন না বিকাশ দোকানী। অভিভাবকদের চাপের মুখে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হয় উপবৃত্তির নগদ অর্থ। এর আগেও এমন ঘটনায় স্থানীয়দের অনেকের টাকা নানা অজুহাতে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিকাশ দোকানীর প্রতারণা বন্ধসহ বিকাশ কোম্পানীর এজেন্ট বাতিলের দাবীও জানান স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, মেহেরপুরপুর সদর উপজেলার রামনগর কলোনীপাড়ার আয়শা টেলিকমের মালিক আতাউর রহমান রামনগর সরকারি প্রাথকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে গোপন পিন নাম্বার(পাসওয়ার্ড) জেনে তুলে নেন ৪০ হাজার টাকা। অভিভাবকরা ওই বিকাশের দোকানে টাকা তুলতে গেলে অভিভাবকদের বলা হয় বিকাশে কোনো টাকা আসেনি, আপনারা এবছর টাকা পাবেননা ।
অভিভবকরা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশানারা খাতুনকে জানালে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখেন প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মোবাইলে টাকা প্রেরণ করা হয়েছে এবং তা উত্তোলন করা হয়েছে। এনিয়ে কয়েকদিন আগে রামনগর গ্রামের মাতব্বরদের নিয়ে সালিশ হয়। সালিশে দোকান মালিক আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে টাকা ফেরত দেবার জন্য ৫ দিনের সময় নেন। পাঁচ দিন পর শিক্ষার্থীদের ৪০ হাচার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন প্রতারক দোকানী আতাউর রহমার।
স্থানীয় আবদুল আলীম নামের এক শিক্ষার্থী অভিভাবক জানান, আমাদের মোবাইলে ম্যাসেজ আসলে আমরা আয়শা টেলিকম আতাউরের দোকানে টাকা তুলতে যায়। আতাউর বলে আপনাদের টাকা আসেনি। পরে দেখি সে আমার কাছ থেকে পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে মোবাইল টিপে বলে আপনার ব্যালেন্স শুন্য। পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানায়।
আরেক অভিভাবক জাহিুল ইসলাম বলেন, আমি টাকা তুলতে গেলে আমার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে বলে তোমার টাকা নেই। এমনিতে চার শত টাকা নিয়ে যাও। বিষয়টি সন্দেহ হলে অন্য দোকানদারকে মোবাইল টা দেখায়। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে আপনার মোবাইলে থেকে ৯০০ টাকা নেয়া হয়েছে। আমি গ্রাম্য মাতব্বরদের অভিযোগ করার সাথে সাথে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীর বাবা মায়েরা তাদের মোবাইল নিয়ে আসেন এবং তা পরিক্ষা করে দেখেন তারে সাথে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। পরে গ্রাম্যশালিশের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেবার শর্তে তা মিমাংসা করা হয়।
এবিষয়ে আয়শা টেলিকমের মালিক আতাউর রহমান বলেন, ওদের টাকা বিকাশ একাউন্টে না এসে ব্যালেন্সে জমা হওয়ায় আমি বুঝতে পারিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোশনারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ধামা চাপা দেবার চেস্টা করলেও তা পারেনি । আমরা দ্রত তাকে চাপ দিয়ে যার যার টাকা তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে এসকল প্রতারক দোকানদারদের বিকাশ এজেন্ট বাতিল না করলে প্রতারণা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন এই শিক্ষক।