মেহেরপুরে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ খাতে বিশেষ অবদান রাখায় জেলার বিভিন্ন গ্রামের ছয় জন কৃষি উদ্যোক্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য অয়োজনের মধ্যদিয়ে কৃষি উদ্যোক্তাদের সম্মানা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বে-সরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলান নির্বাহী অফিসার (ই্উএনও) প্রীতম সাহা।
বিশষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার আরিফূল ইসলাম।
সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো: রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুহা: মোশাররফ হোসেন, পরিচালক মো: কামরুজ্জামান, উপ-পরিচালক (ঋণ কার্যকর্ম) কামরুল আলম, সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাবৃন্দ।
কৃষি উদ্যোক্তা সম্মাননা অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় জেলার কৃষিতে উন্নয়ন ও কৃষকদের ভুমিকা নিয়ে প্রসংশনীয় বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দরা। বক্তব্য শেষে ছয় জন কৃষি উদ্যোক্তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ খাতের কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনটি খাতের কৃতিত্বপূর্ণ অবদান এবং সাফল্যের স্বীকৃতি প্রদানে অর্থিক সহায়তা করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
পিএসকেএস আয়োজিত সম্মাননা প্রাপ্ত উদ্যোক্তারা হলেন-উন্নত জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সম্মাননা পেয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের কৃষক হাসানুর জামান,অরচার্ড উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় গাংনী উপজেলার যুগিন্দা গ্রামের সাহিবুল ইসলাম, পুষ্টি সংবেদনশীল মলা মাপছের ব্রুড ব্যাংক গাড়াডোব গ্রামের রোজিনা খাতুন, ফেভারমুক্ত পাঙ্গাস মাছ ছাষে ষোলটাকা গ্রামের নাজেরা খাতুন,পাঠা মোটাজাত করনে রামনগর গ্রামের শাহিদা খাতুন, বিশষ অবাসন নিশ্চিতকরে আধা বানিজ্যিক ভাবে দেশী মুরগি পালনে বিশেষ ভুমিকা রাখায় তেরাইল গ্রামের সেলিনা খাতুনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অলোচনায় উল্লেখ করা হয়, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সবর্দা কাজ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য খাতে ৮২৩টি, কৃষিখাতে ৩৩৮টি, প্রাণি সম্পদ খাতে ৪৮৫টি, মোট ১হাজার ৪৪৬টি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রদর্শনি বাস্তবায়ন করে। ১০৯জনকে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ৮৩টি খামার দিবস ১১২টি পরামর্শ সভা করা হয়। এছাড়াও কৃষি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ খাতে ২ হাজার ৭২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মদক্ষ করে তোলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভিভিন্ন এলাকার শতাধিক কৃষক ও কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।