মেহেরপুর প্রায় প্রতিটি পোশাক, কসমেটিক ও পাদুকার দোকানে চলছে গোপনে ব্যবসা। গত ২৪ মার্চ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যতিত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের কারণে গত ১০ মে থেকে সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয় সরকার। পরে করোনার ভয়বহতা বৃদ্ধির কারণে ১৮ মে সোমবার থেকে পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।
কিন্তু এই ঘোষণা উপেক্ষা করে মেহেরপুর শহরের বেশ কিছু গার্মেন্টস গোপনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মেহেরপুর সহ আশেপাশের জেলা থেকেও লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছে এই সব বিপণী বিতান গুলোতে।
গতকাল সোমবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি দোকানের শাটার বন্ধ করে ভিতরে কাস্টমার রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বড় বাজার এলাকায় কিছু দোকানের এই দৃশ্য সাংবাদিক ধারণ করলে দোকান মালিকদের তোপের মুখে পড়তে হয়। পরে তাদের সাথে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে সদর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
পরে দোকান মালিকদের সাথে আলোচনা না করে জেলা প্রশাসন থেকে দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নেতারা। এ নিয়ে সোমবার বিকালে একটি জরুরী বৈঠক করেন জেলার বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি-সম্পাদকরা। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু জানান, “দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ তারিখে দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয় সরকার। এজন্য প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঈদ উপলক্ষে মালামাল ক্রয় করেছে। এমন অবস্থায় হটাৎ করে আবার আমাদের সাথে আলোচনা না করে বন্ধ ঘোষণা করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।
জেলার প্রায় ১৫ হাজার মালিক কর্মচারি এতে বিপাকে পড়েছে। তাদের বেতন ভাতা নিয়ে বেশ চিন্তাই পড়েছে দোকান মালিকরা। এসময় হয়তো কেউ কেউ গোপনে ব্যবসা করতে পারে। যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”