মেহেরপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় দুই সহোদরকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কবির হোসেন হুজাইফা ডিক্লেয়ারের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে দায়ের করা একটি মামলার রায়ে এই আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খোদাবকস্ মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মনিরুজ্জামান নামের দুই সহোদর। আসামিদের বিরুদ্ধে একই দিনে সোজা পরোয়ান ইস্যু করেছেন বিচারক।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মনিরুজ্জামানের সাথে বাদী হুজাইফা ডিক্লিয়ারের পারিবারিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আসামিদ্বয় ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিষদের শর্তে বাদীর কাছ থেকে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা ধার নেয়। অতঃপর ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল আসামিদের মালিকানাধীন ফ্রিয়াস ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামীয় সিটি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে একটি পেয়েবল চেক প্রদান করে।
চেকটি নগদায়নের জন্য বাদী ঐ দিনেই বাদী সিটি ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখাতে জমা দিলে, চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর আবার ২০২১ সালের ২৪ মে জনতা ব্যাংক লিমিটেড মেহেরপুর শাখায় চেক নগদায়ন করতে গেলে ব্যাংক চেক ডিজঅনার সার্টিফিকেট প্রদান করে। অতঃপর ২০২১ সালের ২৫ মে বাদী আসামিদ্বয়কে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও তারা কোন সারা প্রদান না করাতে বাদী ২০২১ সালের ১৫ জুলাই আাদালতে ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টের ১৩৮ ধারাতে আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলার রায়ে বাদী হুজাইফা ডিক্লেয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মামলাটিতে বাদী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যাড. মোখলেসুর রহমান স্বপন ও অ্যাড. রফিকুল ইসলাম(১) এবং আসামী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যড. কামরুল হাসান।