সরকারিভাবে প্রচার প্রচারনা না থাকায় মেহেরপুর জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু আশংকা। জেলায় এ বছর এই পর্যন্ত সরকারিভাবে মোট নয় জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ৪ জন বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে সবাই সুস্থ্য হয়েছেন। যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই প্রাইভেট চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ক্ষেত্রবিশেষে অতিথি চিকিৎসকরা চেম্বার থেকেই রোগীকে অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে রেফার্ড করে দেন, ফলে মেহেরপুরে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত এর সঠিক তথ্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানিয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন,’ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে একটি ডেঙ্গু কর্নার ও ৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। হাসপাতালে যেকোনো জ্বরের রোগী আসলেই তাদের আগে ডেঙ্গু কর্ণারে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পরে জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আই সি ইউ তে তুষার নামের একজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ১০ জুলাই একজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর বাইরে মেহেরপুরের তাহের ক্লিনিকে একজন চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুর সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারি হাসপাতালে এখন থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হবে। তবে প্রজ্ঞাপনজারির পর থেকে এই সুবিধাটি কার্যকর করা হবে।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নারে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তাসমেরী খাইরুন নাহার বলেন, ‘জ্বর হলেই ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবেনা কারণ ডেঙ্গুতে ব্যথার ওষুধ দেয়া যায় না। তাই আমার পরামর্শ জ্বর হলেই আপনারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান অথবা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য চলে আসুন, এখানে সুচিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।’
সিভিল সার্জন মেহেরপুর জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন,’এখন পর্যন্ত জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে ভালো। মেহেরপুর জেলাতে এ বছর এখন পর্যন্ত মোট নয়জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছেন, তারা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে একজন রোগী সদর হাসপাতালের আইসিইউ এ ভর্তি আছেন। সার্বিক ভাবে জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি সন্তোষ জনক বলে জানান তিনি।’