মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেল ও আবু মোর্শেদ শোভন সরকার কে চাঁদাবাজি মামলায় আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।
গতকাল সদর থানা পুলিশের এসআই ইকবাল তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আজ বুধবার সকালে আটক দুই নেতাকে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর থানা পুলিশের ওসি শাহ দারা খান জানান, মেহেরপুর সরকারি কলেজর ছাত্র অমিত হাসান বাদি হয়ে রুবেল ও শোভন সরকারের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অর্থ আদায়ের অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ২৪।
এজন্য তাদের আটক করে আজ বুধবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।
এছাড়াও এই দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও মারামারির বিভিন্ন অভিযোগ আছে।
এদিকে রুবেল ও শোভন সরকারের আটকের বিষয়ে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড.ইয়ারুল ইসলাম ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল।
অ্যাড.ইয়ারুল বলেন এটা গ্রুপিং রাজনীতির ফল। মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসানো হয়েছে৷
গোলাম রসুল বলেন, রুবেল ও শোভন কে আটকের পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েছি। তাদের নামে যে মামলা করা হয়েছে সেটা মিথ্যা।
মামলার বাদির সাথে আমার কথা হয়েছে সে বলেছে আমি মামলার বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। আমাকে থানায় নিয়ে বলা হয়েছে একটা ফর্মে সাক্ষর করতে, আমি করেছি।
আমাদের ছাত্র নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে একশ্রেনীর রাজনৈতিক গ্রুপ স্বার্থ হাছিল করতে চাই। যেটা খুবই দুঃখ জনক।