মেহেরপুরের মল্লিক পাড়ায় জমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে করেছে সাইফুল ইসলাম ঘটন ও মেহেদী হাসান রোলেক্স ।
শনিবার সকালে মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিক পাড়ায় এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম ঘটন বলেন আমার চাচাতো ভাই মোবিন উদ্দিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আমাদের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমাদের পরিবারের মান খুন্ন করেছে যা আমাদের জন্য দুঃখ জনক।
আমাদের নামে আইন অমান্য করার কথা বলেছে। চাচা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে ১৪৫ ধারার জন্য মামলা করে। বিজ্ঞ আদালত ১১/০৯/ ২০২২ তারিখে মামলা খারিজ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন চাচাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি জীবন নাশের হুমকি দেওয়া তো প্রশ্নই আসে না।
জমির জবর দখলের মূল ঘটনা হচ্ছে আমার পিতামৃত-এ কে এম সামসুজ্জোহা, চাচা আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মজিদের সাথে ১৯৬৪ সালে বিনিময় দলিল করে দলিল নং-৫৭৩৪ আমার পিতা তাদের ৬ একর ৭৪ শতক নিজ নামীয় সম্পত্তি প্রদান করে বিপরীতে ৫৭৩৩ নং দলিলে তারা আমার পিতাকে ৬ একর ৯১ শতক জমি প্রদান করে। এর মধ্যে ২ একর ২৩ শতক জমি শরিক নাই আব্দুল মান্নানের। বলে আমার আব্বার সাথে প্রতারনা করে তিন শরীকের জমি প্রদান করে। ২ একর ২৩ শতক জমির মধ্যে ১ একর ৪৮ শতক জমি আমার পিতা বুঝিয়ে দেওয়া হয় নি। পরে চাচাকে উক্ত বিষয়ে বললে মৌখিকভাবে আমাদের জমি বুঝিয়া দিয়া দখল দেয়। সেই থেকে আমরা জমির ভোগ দখল করে আসছি। আমরা কোন জমি জবর দখল করি নাই। আমার পিতা ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরন করলে আমরা চাচার সাথে জমি রেজিষ্ট্রি চাইলে বিভিন্ন তাল বাহান শুরু করে। পরে ২০১৭ সালে আমরা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করি মামলা নং-৩/১৭ যা এখনও চলমান। মামলা চলাকালীন চাচা ৪টি দলিলে আইন অমান্য করে জমি বিক্রয় করে দলিল নং-১১১৮/১৯, ১৬৭৪/১৯, ১৬৭৬/১৯, ১৬৭৭/১৯ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা সামাজিকভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার চাচা রাজি থাকলেও চাচাতো ভায়ের কারণে সমাধান হয়নি।
তিনি আরও বলেন গত বুধবার ১৮/০১/২০২৩ তারিখে আমার চাচাতো ভাই আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করলে শনিবার ২১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে থানায় বসার কথা থাকলেও আমরা হাজির হলে তারা মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্তকে মুঠোফোনে জানায় তারা থানায় বসতে রাজি না।