মেহেরপুরে শুরু হয়েছে শীতের তীব্রতা। শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে শীতের পোশাক কেনারও ধুম পড়েছে পোশাক বাজারে। উচ্চবিত্তরা বড় বড় মার্কেটে ছুটলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা ছুটছে পুরাতন পোশাকের দোকান গুলোতে।
গরীবের সুপার মার্কেট খ্যাত পৌর গরুর হাট সংলগ্ন পুরাতন পোশাকের দোকান গুলো ইতোমধ্যে বেশ জমে উঠেছে। সপ্তাহে দুইদিন (শুক্রবার ও মঙ্গলবার) রাস্তার দুইপাশে প্রায় ৩৫টি দোকানে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন সব পোশাক। দিনের শুরুতে এইসব দোকান গুলো খোলা হলেও বেচাকেনা শেষে সন্ধ্যার পর পরই এগুলো আবার বাড়ি নিয়ে যায় বিক্রেতারা। এ সকল দোকান গুলোতে নিন্ম আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা ভিড় জমাচ্ছে।
শুক্রবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশী বিদেশী পুরোনো বাহারি সব পোশাকে সাজানো এইসব দোকান গুলো। একদাম-একদর, দেখে নিন-বেছেনিন, আগে আসলে আগে পাবেন এই ধরনের হরেক রকম স্লোগানে ক্রেতাদের আকৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিক্রেতারা।
৪০-৫০টাকা থেকে শুরু করে ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে পোশাক গুলো। সোয়েটার, জ্যাকেট, কোর্ট, ব্লেজার, গেঞ্জিসহ বিভিন্ন পোশাকের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে সোয়েটার ও জ্যাকেট।
চকশ্যাম নগর থেকে আসা হাসিব শুক্রবার গরুরহাট সংলগ্ন পুরাতন পোশাকের দোকানে এসেছে পোশাক কিনতে। কথা হলো তার সাথে। কয়টা পোশাক কিনলেন জানতে চাইলে, বেশ স¦াচ্ছন্দ্যেই উত্তর দিলেন, তিনটা কিনেছি। আগামী সপ্তাই আবার আসবো। বেশ ভালো ভালো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে কম দামে। যেগুলো দোকান থেকে কিনলে তার দাম ডাবল হতো।
গাংনী উপজেলার রাশেদুল ইসলাম হিরক দোকান দিয়েছেন গরুর হাট এলাকায়, তিনি বলেন প্রতি বছর শীতের মৌসুমে আমি ব্যবসা করি। শীত মৌসুমে ব্যবসায় লাভ ভালো হয়। তবে এবার দাম বেশি নেওয়ায় আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
অপর ব্যবসায়ী মহর আলী বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম এলাকা থেকে এসব পোশাক আসে। পোশক গুলো বেশির ভাগই বিদেশী। আমরা কিনে আনি দ্বিতীয় পাটির কাছ থেকে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে এসব পোশাক সংগ্রহ করি। প্রতি গাইটে ২-৩ হাজার টাকা লাভ হয়। আবার যদি পোশাক খুব ভালো হয়ে যায় সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণটাও বেশি হয়ে যায়।
এছাড়াও মেহেরপুর শহরের পৌর এলাকা থেকে শুরু করে কোর্টমোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ জায়গায় ফুটপাতের উপর বসেছে পুরাতন পোশাকের ছোট ছোট অস্থায়ী দোকান, তাছাড়াও শহরের সজীব প্লাজা, মাফিন ফ্যাশান, শহীদ রিপন টাওয়ার, মানিক মিয়া টাওয়ার, হুদা প্লাজা, মোহাম্মদ আলী মার্কেটসহ সবকটি মার্কেটেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শীতের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন।