ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বায়নের লক্ষ, জাতীয় নাগরিক কমিটি “মেহেরপুর সদর রাইজিং”র উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ, মেজবাহ কামাল এবং নাইম আহমাদ।
আমির হামজার সঞ্চালনায় ও মাহমাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, মুজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর ছহিউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাসীন আলী, সাংবাদিক রফিক উল আলম, মানবাধিকার কর্মী দিলারা আক্তার প্রমুখ। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আশিক রাব্বী, ইয়াসিন আহমেদ সিয়াম, শিশির আহমেদ. হাসনাত সৈকত, প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটি (জানাক)’র কেন্দ্রীয় সংগঠকরা বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী ভাই বোন বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য। জুলাই বিপ্লবে অসংখ্য শহীদ ভাইদের বিচার নিশ্চিত, তাদের পরিবারকে পূনর্বাসন, আহতদের চিকিৎসাসেবা ও তাদের সহযোগীতা নিশ্চিত করতেই জাতীয় নাগরিক কমিটির পথ চলা শুরু হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি (জানাক)’র কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ বলেন, তারুণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশ প্রেম, কর্মস্পৃহা, কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞা। তাই বয়স্কদের পরামর্শে আজকের তারুণরা আগামীতে দেশ গঠণে কাজ করবে। তরুণদের কাজের মধ্য দিয়ে দূর্ণীতিমুক্ত, বৈষম্যহিন একটি সুন্দর, সম্প্রীতির এক সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব বার বার ফিরে না আসুক। এদেশ থেকে এক ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করা হয়েছে। এদেশে ভবিষ্যতে আবারও কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম হলে জুলাই-আগষ্টের মত হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী তরুণ মাঠে নেমে তাদের উৎখাত করবে। বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল তারা পালিয়ে গেছে। তারা আর ফিরে আসতে পারবেনা।
তিনি বলেন, তিনি বলেন, ভারতের কোনো আধিপত্য বাংলাদেশ এখন থেকে আর মেনে নেবেনা। এদেশে অন্য কোনো রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ চলবেনা।
এসময় তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের পরিবারের অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাতে মুজিবনগরের খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিমিয় করেন জানাক’র নেতৃবৃন্দ।