মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। আব্দুস সালামের মার্কা ছিল কাপ পিরিচ ।তার নিকটতম প্রার্থী একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১৫ ভোট।
১ নং ওয়ার্ড (মেহেরপুর সদর-মুজিবনগর) সংরক্ষিত নারী সদস্য পূণ:নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বোন শামীম আরা হিরা, তিনি পেয়েছেন ৯৫ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারগীছ আরা পেয়েছেন ৬২ ভোট। ২ নং ওয়ার্ড (গাংনী) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শাহানা ইসলাম শান্তনা।
১ নং ওয়ার্ডের (মেহেরপুর সদর) সাধারন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আজিমুল বারি মুকুল, তিনি পেয়েছেন ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমাস হোসেন শিলু পেয়েছেন ১৭ ভোট।
২ নং ওয়ার্ড (মুজিবনগর) ইমতিয়াজ হোসেন মিরন ৫৪ ভোট পেয়ে পুন:নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫১ ভোট। ও ৩ নং ওয়ার্ড (গাংনী) ৫৪ ভোট পেয়ে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মো: মিজানুর রহমান।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিরুল ইসলাম মিয়া পেয়েছেন ৫০ ভোট।
ভোট গণনা শেষে মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচিনের রিটার্নিং অফিসার ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বেসরকারীভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবু আনছারসহ নির্বাচনের সাথে জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া মেহেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ও গাংনী উপজেলা শহরে পৃথক পৃথকভাবে আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।