বিনা কারণে বদলি ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে জেলা রেজিষ্টারের কার্যালয় ঘেরাও করেছে নকল নবিসরা।
মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার নকল নবিসরা জেলা রেজিস্টারের কার্যলয় ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় নকল নবিসরা বলেন, জেলা রেজিষ্টার সুখরঞ্জন রায়ের আজ চাকরির শেষ দিন। এই শেষ দিনে আমাদের উপর রাগের বশবর্তি হয়ে বিনা কারণে অন্য উপজেলায় বদলি করে দিয়েছে। সেই বেশ কয়েকজন অপ্রয়োজনীয় ভাবে মেহেরপুর সদর সাব রেজিষ্টারের কার্যালয়ে বদলি করেছে।
নকল নবিস নুর আলম বলেন, অবৈধ নিয়োগের প্রতিবাদে আমরা জেলা রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের করেছিলাম। এ জন্য সে আমাদের উপর প্রতিশোধ নিতে ক্ষমতার অপ্রব্যবহার করেছে।
নকল নবিস রোজিফা খাতুন বলেন, জেলা রেজিষ্টারের কার্যালয়ের অফিস সহকারি ফরিদা ইয়াসমিন, শহিদুল ইসলাম, খায়রুল ইসলামের সহযোগীতায় অবৈধভাবে ৬-৭জন নকল নবিস নিয়োগ করেছিল। এজন্য আমরা নকল নবিশরা তিব্র প্রতিবাদ করেছিলাম।
নকল নবিস লিলুফা ইয়াসমিন বলেন, আমরা ৫১ জন মেহেরপুরে জেলা রেজিষ্টার অফিসে কর্মরত আছি। এর পরও আরও কয়েকজনকে গাংনী ও মুজিবনগর থেকে সদরে বদলি করা হয়েছে। যেখানে নকল নবিসের কোন প্রয়োজন নেই সেখানে সুখরঞ্জন রায় জোর করে বদলি করেছে।
এছাড়াও সাব রেজিষ্টারের অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াহেদকে বদলি করা হয়েছে জেলা কার্যালয়ে। আজ তার যোগদান করার কথা। কিন্তু যোগদান করতে এসে দেখে জেলা রেজিষ্টারের কক্ষ তালা বদ্ধ।
জেলা রেজিষ্টার কার্যালয়ের পরিছন্ন কর্মি বলেন, জেলা রেজিষ্টারের আজ চাকরির শেষ দিন। তাই অফিস ছুটির আগেই তিনি চলে গেছেন।
মেহেরপুর সদর সাব রেজিষ্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, সদরে নকল নবিস এমনিতেই বেশি। সেখানে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতিরিক্ত নকল নবিস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোন রকম ফেয়ারওয়েল ছাড়াই জেলা রেজিষ্টার আজ শেষ দিনে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্টারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।