মেহেরপুরে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়াম ও মেহেরপুর সরকারী কলেজের কেন্দ্রে সকাল ৯ টায় বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এসব কেন্দ্রে লোকজন লাইন ধরে টিকা নিচ্ছেন। যারা টিকা নিতে পারবে তাদের আগে থেকেই মোবাইল ফোনে এসএমএস করে কনফার্ম করা হয়েছে। আজ ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানান মেহেরপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি শাখার যুব প্রধান খন্দকার শামসুজ্জোহা সোহাগ।
তিনি বলেন, আমরা স্টেডিয়াম কেন্দ্র এই সপ্তাহে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজারের ওপরে বুস্টার ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১০ জন কর্মী নিয়মিত কাজ করে চলেছি। আজকে প্রায় ৭ শ’ জন মানুষকে আমরা বুস্টার ডোজের আওতায় এনেছি। আশা করছি এই সপ্তাহে আমরা একটি বৃহৎ অংশকে বুস্টার ডোজ দিতে পারবো।
প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজের চেয়ে প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভলেন্টিয়ার মোঃ নাগর ইসলাম, শেখ আবিদ আল হাসান, আনসা আমরুল, নুসরাত জাহান জ্যোতি, নার্স দেলোয়ার হোসেন ও অবনিতা মন্ডলের গুরুত্বসহকারী কাজকে প্রসংশা করেছেন টিকা দিতে আসা মানুষজন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, বুস্টার ডোজ দিতে কোনো অসুবিধাই হয়নি। লাইনে দাঁড়ানোরও প্রয়োজন হয়নি একদমই ফাঁকা ছিলো।
মোছাঃ মরিয়ম বলেন, যেহেতু সরকারের নির্দেশ তাই আগ্রহের সাথেই বুস্টার ডোজ দিতে আসলাম। ডোজ দিতে কোনো প্রকারের অসুবিধা হয়নি। এর আগের ডোজগুলোও যথা সময়ে দিয়েছি এবং বুস্টার ডোজটাও যথা সময়ে দিলাম।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বামন পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শেষ তাই বুস্টার ডোজ দিতে আসলাম। এসে দেখি অনেকেই এসেছে কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই টিকা দিয়ে চলে আসলাম।
বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার কার্ড প্রয়োজন।