আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া। এর প্রভাব পড়েছে মেহেরপুরেও। ডাইরিয়ায় আক্রান্ত প্রতিদিন অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অনেকে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন খবরও পাওয়া গেছে।
গতকাল রবিবার বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩১১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১২৩ জন, গাংনী উপজেলা হাসপাতালে ১৬৬ জন ও মুজিবনগরে ২২ জন ভর্তি হয়েছেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ১০টি বেডের বিপরীতে প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাংনীর কাজীপুর গ্রামের ডায়রিয়া আক্রান্ত মুনছুর আলী জানান, গত পরশুদিন হাসপাতালে এসেছি। প্রায় সুস্থ্য হয়ে গেছি।
ও সাহারবাটি গ্রামের নুরজাহান জানান, হঠাৎ করে শরীর দুর্বল লাগছিলো। এরপর থেকে পেটে বাথার সাথে বমি ও পায়খানা শুরু হয়। পরিবারের লোকজন পরশুদিন সন্ধ্যায় গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ভালো লাগছে।
সদর উপজেলার ঝাঁঝাঁ গ্রামের মরিয়া নেছা বলেন, আমার শিশু জায়মা খাতুন হঠাৎ ডাইরিয়া আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমরা এখন সুস্থ হয়ে উঠেছি।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মকলেছুর রহমান জানান, শীত থেকে গরম পড়তে শুরু করায় ভাইরাল ডায়রিয়াটা বেশী হয়। এছাড়া কভিডের কারনে মানুষজন দীর্ঘদিন ঘরের বাইরে যেতে পারেনি। এখন লোকজন বাইরে যাচ্ছেন। বাইরের খাবার দাবার খাচ্ছেন। যে কারণে ডাইরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এই সময়ে প্রতিবছরই ডায়রিয়ার প্রকোপটা সাধারণত বৃদ্ধি পায়। তবে স্যালাইন থেকে শুরু করে অন্যান্য ওষধপত্র পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে।