মেহেরপুর সহ সারা দেশে গত বুধবার থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড বরা হয়েছে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় ৭.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আজ শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায়। তিব্রশীতে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। বিশেষ করে খেটে মানুষরা পড়েছে বেশি বিপদে। তিব্রশীতে কাজ না থাকায় বিপদে পড়েছে দিন-মজুরাও।
গ্রাম-গঞ্জ থেকে কাজের সন্ধানে মেহেরপুরে আসা দিন মজুরের সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এদের মধ্যে হাসেম, জয়নাল, ইজারুল নামের দিন মজুরের সাথে কথা বলে যানা যায় বেশি শীতের কারনে কজে আসতে পারেনি অনেকেই। তাছাড়া কাজও খুব একটা নেই।
এদিকে শীতের পকোপ থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছে দোকান গুলোতে। শুক্রবার মেহেরপুর গরুর হাট সংলগ্ন পুরাতন কাপড়ের দোকনগুলো উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নিম্ন-মধ্যবিত্তরা এই সব পুরা তন কাপড়ের দোকান থেকে সংগ্রহ করছে মোটা কাপড়ের পোশাক।
এছাড়াও গ্রাম ও শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায় অনেককেই। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে গরিব মানুষদের দেওয়া হচ্ছে কম্বল।
এদিকে হঠাৎ করে শীতের তিব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। গত দুই দিনে প্রায় শ-খানেক রোগী ভর্তি হয়েছে আবহাওয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, শীতের তিব্রতা আরও বেশি হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসেই একটি শৈত প্রবাহ হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, আমরা ইতি মধ্যে অসহায় গরিবদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি। আমাদের কাছে এখনো পর্যাপ্ত কম্বল সংরক্ষিত আছে। সেগুলো বিতরণ করা হবে।
-নিজস্ব প্রতিনিধি