মেহেরপুর কলেজ মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে দুইটি দোকান থেকে সাত হাজার ও একটি দোকান সিলগালা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড় এলাকায় গুরুদেব হোমিও হলের পাশে, নাইম স্টোর ও এস.এম.কে আজমাইন কসমেটিক্স ফুড এন্ড টেলিকমে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় দোকান দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমলপানীয় সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার করে। একই সাথে উদ্ধারকৃত মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং এস.এম.কে আজমাইন কসমেটিক্স ফুড এন্ড টেলিকম কে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল ইসলাম জানান, বেশ কিছু দিন থেকে আমাদের কাছে খবর আসছে ওই সব দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল বিক্রয় করা হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, এস এম কে আজমাইন কসমেটিক্স ফুড এন্ড টেলিকম দোকানটিতে ১০০% এর মধ্যে ৬০% মালামাল মেয়াদ উত্তীর্ণ। মেয়াদ উত্তীর্ণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এসব মামামাল। যেখানে প্রতিনিয়ত মিডিয়াতে প্রচার হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ যে কোন দ্রব্য সামগ্রী মানব দেহের জন্য ক্ষতি কর। আর এখানে তো অধিকাংশই স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রী যারা বোঝেই না দ্রব্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ কি, কেন দেওয়া হয় মেয়াদ। তারা নিয়মিত এই দোকান থেকে এই মেয়াদ উত্তীর্ণ দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করে থাকে।
তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ও ৫৩ ধারায় নাঈম স্টোরকে ২ হাজার টাকা এবং এস এম কে আজমাইন কসমেটিক্স ফুড এন্ড টেলিকমের মালিক কে ৫ হাজার সহ দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।