এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার মেহেরপুর জেলার প্রতিটি গ্রামে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত পৃথক পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, ঈদগাহ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদগাহ কমিটি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এ পরিস্থিতিতে রবিবার গাংনী উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে কয়েক দফা মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, ঈদের জামায়াতে কোনো স্থানীয় বিশিষ্ট মুসল্লি ঈদ শুভেচ্ছা বা বক্তব্য রাখতে পারবেন না। সে মোতাবেক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদিও হাসান শামীম ঈদের জামায়াতের ইমামের খুতবার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এ সময় পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গাংনীর আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা হাজী মহা. মহসিন আলী গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সম্প্রতি ওই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ৬ মাসের জন্য অ্যাড-হক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. মো. রবিউল ইসলাম।
এদিকে, মেহেরপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
দ্বিতীয় প্রধান জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে কয়েক হাজার নারী ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া, গাংনী মডেল মসজিদ ও চৌগাছা ঈদগাহ ময়দানেও বড় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।