মেহেরপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য শাহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন। বক্তব্য দেন, মেহেরপুর জজ আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপপরিচালক কে এম শাহিন কবির, আন্ত:ধর্মীয় সংলাপের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল শাহিন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা ওলামা পরিষদের সহ সভাপতি খাদেমুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক শ্বাশত নিপ্পন, মেহেরপুর মহাশশ্মানের সভাপতি কাজল দত্ত,পণ্ডের ঘাট মসজিদের ইমাম শাহাজাহান কবির।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারে মেহেরপুরের জনপদ। ধর্মান্ধতা থেকৈ মুক্ত থাকাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানান লেখাগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে, যাচাই বাছাই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছূ নেই, সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বারবার বলতে হবে। জুম্মার খুৎবায়, ঈদের নামাযে, ওয়াজ মাহফিলে এবং অন্যান্য ধর্মালম্বিদের নিজ নিজ প্রার্থনা কেন্দ্রে সম্প্রীতির ব্যাখ্যাগুলো দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ধর্মপালনের ক্ষেত্রে রসুল(স.) এর মদিনা সনদের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। তার ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরতে হবে।