আপত্তিকর ছবি ইন্টার নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় জাব্বরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (দায়রা জজ) মোঃ তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামি জাফরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তার আটকের দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে। সাজাপ্রাপ্ত জাব্বরুল ইসলাম গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের এজেল হকের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে সাহারবাটি গ্রামের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে প্রতিবেশী জাব্বরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে উত্ত্যেক্তা করতো। জাব্বারুলের মোবাইল ফোনে ওই গৃহবধুর কিছু আপত্তিকর ছবি আছে সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে জাব্বারুলের ২০২০ সালের ৬ জুন শাকিলাকে মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে নওপাড়া গ্রামের তার সহযোগী নওপাড়া গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শাকিলা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী)২০১৩ সালের ৯(৪)(খ) ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২১। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
জাব্বারুলের বিরুদ্ধে মামলাটি প্রমানীত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরমিানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন।
মামলায় মোট ৬ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রের পক্ষের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার একেএম আসাদুজ্জামান কৌশলী ছিলেন।