বিগত সরকারের আমলে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জামায়াতের ৫৪ জন নেতাকর্মীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর নবীর আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবি মামলার যৌক্তিতা তুলে ধরে তাদের বেখসুর খালাসের আবেদন করলে মামলার ৫৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন বিজ্ঞ বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে নাশকতার অভিযোগ এনে ১৯৭০ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট এর ১৫, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনের ৪/৫ ধারায় জামায়াতের ৫৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পুলিশ।
মামলায় আসামি করা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সেলিম রেজা, নুরুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির রবিউল ইসলাম, জামায়াত কর্মী রিয়াজুল ইসলাম, মোফাজ্জেল হোসেন, আহাদ আলী, আজগর আলী, নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব হোসেন আলী, হিমু, বিমল হোসেন, মতিয়ার রহমান, হালিম, হাবিবুর রহমান, হাফিজুল, সাবদার আলী, শাহজাহান, হুমায়ূন কবীর, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ রাজন, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন জমিদার, মোল্লা মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, তোজাম্মেল হক, খান
জাহান আলী, শেখ সাঈদ আহমেদ, আবুল হাসান, জাফর আলী আইনুদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, মনিরুজ্জামান, আব্দুস সালাম, শামসুল আলম, মহসিন আলী, আব্দুস সামাদ, আমিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শাজাহান খান, আবু ইউসুফ মিরন, সামাদুল ইসলাম, আব্দুল জাব্বার মাস্টার, সাইফুল ইসলাম, কামাল শেখ, মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ, শাহাবুদ্দিন, আলামিন ওরফে বকুল, ইসরাইল, আব্দুল মতিন, ফারুক ওরফে আব্দুল বারী, সোহেল রানা ডলারকে আসামি করা হয়। দীর্ঘদিন পর রবিবার মামলার সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের আমলে জামায়াত ইসলামীর প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীদের নামে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ ও রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু পুরুষকে নয় মামলায় আসামি করা হয়েছিল আমাদের সংগঠনের বোনদের। এসব মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪ টি মামলায় জামায়াতের নেতাকর্মী বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
এই মামলাটি ৮৬ টি মামলার মধ্যে ২৪ তম রায়। বাকী মিথ্যা মামলাগুলোও বিজ্ঞ আদালত বেকসুর খালাস পাবো বলে আশা করছি।