বৈশ্বিক অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায়ই দেখা দেয় অস্থিরতা। ক্রমেই নানা অজুহাতে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে হিসেব মিলাতে পারছে না ক্রেতারা। ফলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষ।
এখন বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের অন্যতম হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি। ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে এসব পণ্যের মূল্য। জনকল্যাণে নেওয়া সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও কোন কোন পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এসব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধ্যের বাইরে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক পাইকারি ও খুচরা বাজার দরের তারতম্যের চিত্র নিম্নরুপ।
গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সহ গত এক সপ্তাহে সরজমিনে মেহেরপুর শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য তালিকায় বিগত সপ্তাহের তুলনায় তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।
মেহেরপুর বড় বাজারে, মোটা চাল পাইকারি মূল্য ৫২ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছ। মাঝারি চাল পাইকারি মূল্য ৫৬ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৮ টাকা কেজি, সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরু চাল পাইকারি মূল্য (৬১-৬২) টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য (৬৪-৬৫) টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। আলু পাইকারি বিক্রয় মূল্য ৪৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
দেশি পেঁয়াজ পাইকারি মূল্য ১১০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১২০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এল সি পেয়াজ পাইকারি মূল্য ৯০ টাকা ও খুচরা ১০৫ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা মূল্য ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিম পাইকারি মূল্য ১১৫ টাকা ডজন ও খুচরা মূল্য ১২০ টাকা ডজন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য ২০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ব্রয়লার মুরগির পাইকারি মূল্য ১৫০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।