এখন বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি।
ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে এসব পণ্যের মূল্য। কোন কোন পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এসব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধ্যের বাইরে মুরগি, গরু ও খাসির গোশত।
এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক পাইকারি ও খুচরা বাজার দরের তারতম্যের চিত্র নিম্নরুপ। গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সহ গত এক সপ্তাহে সরজমিনে মেহেরপুর শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য তালিকায় বিগত সপ্তাহের তুলনায় তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।
মেহেরপুর বড় বাজারে, মোটা চাল পাইকারি মূল্য ৪৮ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধান অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি চাল পাইকারি মূল্য ৫৬ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৮ টাকা কেজি,এক সপ্তাহের ব্যবধান অপরিবর্তিত রয়েছে।
সরু চাল পাইকারি মূল্য ৬০ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু পাইকারি বিক্রয় মূল্য ৪১ টাকা ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে ৫ টাকা কমলেও খুচরা মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশি পেঁয়াজ পাইকারি মূল্য ৯৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ১৫ টাকা হ্রাস পেয়েছে। এল সি পেয়াজ পাইকারি মূল্য ৮৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে । গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ৫ টাকা কমলেও খুচরা মূল্য গত সপ্তাহের তুলনায় আরো ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিম পাইকারি মূল্য ১২০ টাকা ডজন ও খুচরা মূল্য ১৩২ টাকা ডজন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য প্রায় ১৫ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ব্রয়লার মুরগির পাইকারি মূল্য ১৬০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৭০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহে ১০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।