গরম না আসতেই নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে মেহেরপুরে কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত একই ভাবে কিছু ক্ষণ পর পর বিদ্যুতের আসা যাওয়া সহ্য করতে হচ্ছে মেহেরপুর বাসীকে।
গতকাল শনিবারও দুপুরের দিকে দুই বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ ছাড়া চলে এমন কোন অফিস, বাসা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। কোন না কোনভাবে বিদ্যুতের প্রয়োজন। এছাড়াও রয়েছে বাড়তি বিলের বিড়ম্বনা। বাড়তি বিল দিয়েও বিদ্যুৎ না পাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।
মেহেরপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা ১৬ হাজার ২৩০ জন। এর বিপরীতে বর্তমানে মেহেরপুরে বিদ্যুৎ চাহিদার শতভাগ সাড়ে ছয় গোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের মাফীন ফ্যাশনের মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুৎ বেশি ঝামেলা করছে যার কারণে কাস্টমারদের পোশাক কিনতে অসুবিধা দেখা দিচ্ছে, অনেক কাস্টমার ঘুরে যাচ্ছে।
ডালিম ফার্মেসির মালিক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানে কারেন্ট চলে যাওয়ার কারণে দোকান অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে এবং বারবার কারেন্ট চলে যাচ্ছে দোকানদার রাশেদুল ইসলাম ২০২০ সালকে ২০০১ সালের সাথে তুলনা করেন ।
মুদি দোকানদার আনসারুল বলেন, বারবার কারেন্টের যাতায়াতের কারণে আমারা মাপামাপির জন্য যে স্কেল ব্যবহার করি তা কারেন্টে চলে যার কারণে অসুবিধা দেখা দিচ্ছে এবং দোকান অন্ধকার হয়ে থাকছে। এছাড়া বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে।
মেহেরপুর ওজোপাডিকোলিঃ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আব্দুল আজীজ বলেন, সকালে যে লাইন আসা-যাওয়া করছিল ওটা বৃষ্টির কারণে। নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করা হয়েছে যাতে তার ছিঁড়ে গেলে কোনো দুর্ঘটনা না হয় । তিনি আরও বলেন, কারেন্টের তারের ওপর নারকেল গাছের ডেগু পড়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। চুয়াডাঙ্গায় লাইনের সমস্যার কারণে একবার বিদ্যুৎ গেছিলো।
আমাদের লাইনের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। তাই যেকোনো সময় এই ধরনের সমস্যা হতেই পারে। একই সঙ্গে তিনি জানান, বিদ্যুতের লাইনের তার আন্ডারগ্রাউন্ড করা হয় তাহলে এই ঝামেলায় আর কখনো পড়তে হবে না।
মেপ্র/আরপি