মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে পরকিয়ার জের ধরে সুজন নামের এক যুবক খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে তাকে নিজ ঘরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুজন পেশায় ড্রাইভার, তিনি পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে। এঘটনায় সুজনের চাচাতো ভাবি শিরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুজনের চাচা মখলেছুর রহমান বলেন, গত রবিবার রাতে কোন এক সময় সুজনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কে বা কাহারা আঘাত করে । পরে গ্রামের কোন এক ডাক্তারকে দিয়ে সুজনের চিকিৎসা করানো হয়। গত সোমবার দুপুরে রিকু ও লাবু নামের দুইজন সুজনের বাড়িতে গিয়ে খারাপ অবস্থা দেখে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
মখলেছ পরিবারের বরাত দিয়ে অরো জানান, সুজন গলায় দড়ি দিতে যাচ্ছিল এমন সময় তাকে বাচানোর জন্য আঘাত করা হয়। পাশের বাড়ির চাচাতো ভাবি শিরিনার সাথে সুজনের কোন অবৈধ সম্পর্ক থাকতে পারে। এজন্য সুজনের বউ কাকলি খাতুনের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এরই জের ধরে সুজনকে মারতে পারে বলে ধারনা করছি।
দরবেশপুর ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন জানান, সুজনের বিষয়ে আমি শুনেছি। এদের ঘরে ঘরে ঝামেলা ছিল। সুজন মারা যাওয়ার পর পুলিশ এসে তার চাচাতো ভাবিকে আটক করে।
মেহেরপুর সদর থানা ওসি শাহ দারা খান বলেন, দরবেশপুরের খুনের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের চাচাতো ভাবিকে থানায় আনা হয়েছে। সেই সাথে তার বউ কাকলিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হবে। সুজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।