আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ডাকাত সর্দারসহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার সেনপাড়া কালিতলাপাড়া এলাকার ডাকাত দলের সর্দার মোঃ আলতাফ মন্ডল (৫৩), চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামের ডাকাত সর্দার রমজান আলী ও ডাকাতদলের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় ডাকাত চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মো: আসাদুল ইসলাম ওরফে শরিফুল ইসলাম।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও মেহেরপুর জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল একযোগে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব ডাকাতদের গ্রেফতার করে।
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টার সময় পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেসকনফারেন্স সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক ভাবে মেহেরপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মাকসুদা আকতার খানম, পিপিএম এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডাকাত সর্দার মোঃ আলতাফ মন্ডলকে গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার সেনপাড়া কালিতলা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৭’শ টাকা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ডাকাত সর্দার আলতাফের বিরুদ্ধে ৮ টি ডাকাতি মামলা ও ১ টি অস্ত্র মামলা আছে। গত ৬ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া থেকে ডাকাত সর্দার রমজান আলীকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত রমজানের বিরুদ্ধে ১ টি ডাকাতি ও ১ টি চুরির মামলা রয়েছে। ডাকাত মো: আসাদুল ইসলাম ওরফে শরিফুল ইসলামকে গত ৭ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার জিহালা গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত আসাদুল ইসলাম ওরফে শরিফুল ইসলাম একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা রয়েছে।
এসব ডাকাতদের গ্রেফতারের পর গত ৮ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। তারা ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলার শুকুরকান্দি নামক স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে ১০/১২ জন ডাকাত হাসুয়া করাতসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হয়ে কুষ্টিয়ার দিক থেকে আসা ড্রামট্রাক, আলমসাধু, হানিফ পরিবহন ও কুষ্টিয়াগামী ড্রাম ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকিয়ে গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং সাধারণ যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
এসময় ড্রাম ট্রাকের এক চালক ও এক হেলপারকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি মামলা করা হয়। যার মামলা নং ০২, তাং- ০২/১১/২০২৪, ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড।
এসময় মেহেরপুর এডিশনাল এসপি আবদুল করীমসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।