মেহেরপুরে বাক প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলায় খোকন ওরফে প্রতিক (২০) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. তহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। দন্ডিত খোকন ওরফে প্রতিক মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মুকুল শেখের ছেলে। মামলার অপর আসামি আজিজুল শেখের ছেলে কালু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টার সময় মোনাখালী গ্রামের শাহিনের স্ত্রী বেলি খাতুন তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে নাজমা খাতুন (১৪)কে নিয়ে তার পিতা শিবপুর গ্রামের বাবর আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায় । ঘটনার দিন সন্ধায় নাজমা খাতুনকে নানা বাড়ি রেখে ফুফা সোনা ভানুর সাথে দেখা করতে যান বেলি খাতুন। মায়ের ফিরতে দেরি হলে বাক প্রতিবন্দী নাজমা খাতুন তার মাকে ডাকতে যায়।
প্রতিবন্ধী নাজমা খাতুন খোকন ও ওরফে প্রতিকের বাড়ির কাছে পৌঁছালে প্রতিক তাকে জাপটে ধরে এবং তার গায়ের চাদর দিয়ে মুখ বেঁধে ঘরে নিয়ে জোরপুবর্ক ধর্ষন করে। নাজমা খাতুন বিষয়টি ইশারার মাধ্যমে পরিবারের লোকজনকে জানালে ঘটনার সত্যতা জেনে ওই দিন বেলি খাতুন বাদী হয়ে খোকন ওরফে প্রতিককে আসামী করে মুজিবনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১,তারিখ-৪/০২/২০১৭।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সুব্রত কুমার পাল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ওই বছরের ৩১ জুলাই। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও পর্যায়ক্রমে ১৬জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম আসাদুজ্জামান ও আসামি পক্ষের গোলাম মোস্তফা আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী একেএম আসাদুজ্জামান জানান, আসামী বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করে এবং মামলার সমস্ত আলামত প্রমানিত হওয়ায় তাকে উপযুক্ত সাজা প্রদান করেছেন বিজ্ঞ বিচারক। এ রায়ে বাদী পক্ষের লোকজন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।