বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’ শেষ হলো।
চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে গত ১১ অক্টোবর থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু হয়।
পরবর্তী ৫দিন মেহেরপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপগুলোতে পূজা-অর্চণার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দূর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হলো। এবার দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন, গিয়েছেন পালকিতে চড়ে।
শুক্রবার বিকালের দিকে মেহেরপুর ভৈরব নদ সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। মেহেরপুর শহরের পাঁচটি পূজা মন্দির সহ মেহেরপুর জেলার ৪২ টি পূজা মন্ডপ স্ব-স্ব এলাকায় প্রদক্ষিণ শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
এর আগে হিন্দু ধর্মাবলিরা রং মেখে উলুধ্বনি দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যদিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।