মেহেরপুরে দিন দিন বেঙেন চলেছে স্ট্রিট ফুডের চাহিদা। মেহেরপুর শহরের পৌরসভার সামনে, বাসসন্ট্যান্ড, কোর্টমোড় সহ কয়েকটি স্থানে ফুটপাথে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু স্ট্রিট ফুডের দোকান।
স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবার হিসেবে একদিকে সুস্বাদু, সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ার কারণে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে এসব খাবারের। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এইসব স্ট্রীটফুডের দোকান গুলোতে লেগে থাকে উপচে পড়া ভিড়।
খেতে সুস্বাদু ও সস্তা হওয়াই সব শ্রেণী পেশার মানুষই খায় এই স্ট্রিট ফুডগুলো। স্ট্রিট ফুড গুলো খাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সরেজমিনে মেহেরপুর শহরের পৌরসভার সামনে স্ট্রিট ফুড দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসকল স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো খাবারের জন্য যায়। সহজলভ্য ও সুস্বাদু খাবার গুলোর মধ্যে হাতে তৈরি কলাই রুটি, বার্গার, চিকেন ফ্রাই, নুডুলস, ফুচকা, চটপটিসহ আরো অনেক কিছু।
কলাই রুটি খেতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এই কলা রুটি খেতে খুবই ভালো লাগে, প্রতিদিনই আমার এই রুটি খেতে ইচ্ছা করে ,কিন্তু সিরিয়াল পাওয়া যায় না। মানুষের এত চাহিদা যে এসেও আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাও দাঁড়িয়ে থেকে এক পিস রুটি নিয়ে আমি খাই।
কলাই রুটি ব্যবসায়ী বলেন, আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এখানে রুটি তৈরি করে বিক্রি করি। আমাদের এখানে অনেক চাহিদা। অনেক মানুষই এখানে নিয়মিত খেতে আসে আর আমাদের বেচাকেনাও অনেক ভালো হয়।
স্ট্রিট ফুড দোকানদার মো: আশিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার সামনে আমি তিন মাস ব্যবসা করছি। আমাদের চাহিদা অফুরন্ত,আমরা কাস্টমারদের খাবার দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারি না। আমরা এখানে দুই ধরনের আইটেম থাকে চিকেন চিজ বার্গার ও চিকেন ফ্রাই। আমাদের চিকেন বার্গার মাত্র ৫০ টাকা চিকেন ফ্রাই ৩০ টাকা তাই এসব সহজ মূল্যের খাবার খেতে অনেকেই ভির করে।
আরেক স্ট্রিট ফুড দোকানদার বলেন, আমি এখানে হালিম, নুডুলস, ফুসকা ও চটপটি বিক্রি করি। ক্রেতাদেও চাহিদামত মানসম্মত খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করি। আজ একশো প্লেট নুডুলস রানা করেছিলাম মাত্র ৩০ প্লেট বাকি রয়েছে, এগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে। বলা যায় প্রচুর মানুষ এখানে খেতে আসে।