তিন দিন আগে বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি আসলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন উঠতে দেইনি ঘরে। প্রতিবেশীদের চাপে স্বামীর ঘরে উঠতে দিলেও গতকাল মঙ্গলবার থেকে তাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে চালাচ্ছিল নির্যাতন।
অবশেষে সিঁড়ি ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন গৃহবধু মোহিনী খাতুন (২২)। মোহিনী খাতুন সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পন্ডের ঘাট এলাকার সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
আজ বুধবার (১৭-আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শশুর বাড়ির সিঁড়ি ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।
সদর থানা পুলিশ মোহিনী খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ৩ দিন আগে মোহিনী তার মায়ের বাড়ি শ্যামপুর থেকে থেকে শ্বশুর বাড়ি আসেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ঘরে উঠতে দেয় না। পরে প্রতিবেশীরা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে অনেকটা চাপ দিয়েই মোহিনীকে বাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে।
আজ সকালে মোহিনীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম মরদেহটি উদ্ধার করেন।