মেহেরপুরে রাস্তা প্রশস্তকরণে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। দুটি সড়কের ৩ কিলোমিটার মিটার রাস্তার পাশের কলা, তুলা, লিচু বাগান, আলুসহ বিভিন্ন জমি থেকে মাটি কেটে দেওয়া হচ্ছে রাস্তার পাড়ে।
এতে একদিকে যেমন ক্ষতির মুখে পড়েছে জমির ফসল, অন্যদিকে রাস্তার একেবারে পাশে থেকে মাটি কাটায় রাস্তা টেকসই হওয়া নিয়ে উঠেছে অনেক প্রশ্ন।
মেহেরপুর সদর এলজিইডি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া, আশরাফপুর-টেংরামারি সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজটি পায় কুষ্টিয়ার সৈকত এন্টারপ্রাইজ এবং যাদবপুর-বাড়িবাকা এক কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ পায় মিঠু এন্টারপ্রাইজ। দুটি সড়কে ১০ ফিট থেকে ১৬ ফিটে প্রশস্তকরণে ব্যায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫৬০ টাকা। সৈকত এন্টার প্রাইহের কাজটি মেহেরপুরের নূর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ করছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাশের ফসলের জমি থেকে মাটি কেটে দেওয়া হচ্ছে রাস্তার পাড়ে। এলাকার চাষিদের বোঝানো হয়েছে, সরকারি কাজে বাধা দিলে সমস্যা হবে। তাই অবৈধভাবে মাটি কাটলেও প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না অনেকেই।
আশরাফপুর গ্রামের ইউসুব আলী নামের এক চাষি জানান, আমার ২৩ কাঠা জমির প্রায় ৪ কাঠার মাটি কেটে নিয়েছে ঠিকাদার। আমাকে বলা হয়েছে সরকারি কাজে মাটি দিতে হবে।
তবে ঠিকাদার নুর ইসলামের দাবি অনুমতি নিয়েই মাটি কাটা হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মাটি কাটতে বলেছে। এ বিষয়ে আমদহ ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
মেহেরপুর সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আপনাদের সহোযোগীতা করতে হবে। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা অবৈধ হলেও, পরিবহন খরচ বরাদ্দে নেই বলে পাশের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহযোগীতায় মাটি কাটা হচ্ছে।