করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ধাপে মানুষের অসহায়ত্ব যেন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি এবং অপরদিকে কর্মের সংকটে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। দু’বেলা ঠিকমতো পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই এখন সব থেকে কঠিনতম কাজ। মহামারীর এই সময়ে মেহেরপুর জেলার অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত সাব্বির আহমেদ নামে এক তরুণ।
বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় এবং রাব্বি, তানভীর, নাঈম, আকাশ, পিয়াস, রুমেলসহ আরো অনেক স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে প্রতিদিন অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার সময় শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় প্রায় ৩ শত অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ফ্রি বাজারের মাধ্যমে সবজি বিতরণ করেন সাব্বির আহমেদ।
মহামারীর প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতায় ৭৫ দিন সহ সর্বমোট এখন পর্যন্ত ৮০ দিনের মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সাব্বির আহমেদ। তার করোনার প্রথমে নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে ছিল মানবতার দেয়ালের আদলে খাদ্য সামগ্রীর ফ্রি দোকান, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, সবজি যাবে আপনার বাড়ি, ফ্রি বাজার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, ঈদ উপহার, ইফতার সামগ্রী, মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, জীবাণুনাশক ব্লিচিং পাউডার স্প্রেসহ আরো অনেক কার্যক্রম। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন ফ্রি বাজার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
সাব্বির আহমেদ বলেন, মহারীর এই সময়টি এক রকম অঘোষিত যুদ্ধে ময়দান। যেখানে শত্রু আমাদের চক্ষু দৃষ্টির আড়ালে কিন্তু সমস্যাগুলো সকলের সামনে প্রতিয়মান। সমস্যার সমাধানে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। না হলে কখনোই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতম অবস্থা থেকে আমরা উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হবো না। আমাদের কার্যক্রমগুলো সম্পূর্ণই মানুষের সহযোগিতার উপরে নির্ভরশীল।
তাই সকলকে মানুষের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানাই। সকলে মিলে কাজ করলে একদিন স্বপ্নের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে ঈদ উপহার সামগ্রী সহ অন্যান্য কার্যক্রম আবারো শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাব্বির আহমেদ এবং এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।