আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মেহেরপুরের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এক দিনে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের শিশু ও বৃদ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছে প্রায় শতাধিক। বেশ কয়েকদিন যাবৎ তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে জেলাতে প্রায় প্রতিদিনই দুই শতাধিক রোগী হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে। যা আগের তুলনায় কয়েকগুন বেশী। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫ শতাধিক রোগী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৩ জন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি রয়েছেন ২ জন ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি রয়েছেন ৩০ জন জন।
শীতের শুরুতে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, জ্বর, শ্বাসনালী তন্ত্রের প্রদাহ, ফুসফুস, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল শনিবার বিকালে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোর শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ তুলনামুলক বেড়েছে। এসব রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ’র সংখ্যাই বেশী।
শিশু সুমাইয়া খাতুন (৩) এর সর্দি জ্বর হওয়ায় জতারপুর গ্রামের আছিয়া এসেছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা লাগার কারণে, মেয়ের জ্বর আর সর্দি লেগেছে। তিনদিন আগে এসেছি। এখন মোটামুটি সুস্থ্য। কালকে বাড়ি ফিরতে পারবো।
সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের রাকিমন নেছা বলেন কয়েকদিন ধরে ছেলে রুবেল হোসেনের ঠান্ডা লাগায় জ্বর হয়েছে। তাই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছি। এখন মোটামুটি ভালোর দিকে।
গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আশারুল ইসলাম তার ছেলে শ্যামল (৬) কে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। ছেলের জ্বর হয়েছে। এছাড়া খুব কাশছে। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নিচ্ছি।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোখলেছুর রহমান বলেন শীতের শুরুতে শীত জনিত রোগের প্রকোপ একটু বাড়ে। এজন্য শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বেশী করে যত্নশীল হতে হবে। এছাড়া শিশুর যেনো ঘেমে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে মায়েদের বেশী করে নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের খুব গরম না আবার যেনো শীতের মধ্যে না নাতিশীতোষ পরিবেশ তৈরী করতে হবে। তাদের ধুলাবালি থেকে দুরে রাখতে হবে।
এছাড়া শিশুদের খাবার এবং খাবারের পাত্র পরিস্কার পরিচছন্ন ও জীবানুমুক্ত রাখতে এবং পচা বাসি খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেন তিনি।