মেহেরপুর—চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে বেপরোয়া গতির বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় ৫ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, শ্রমিক বহনকারী ট্রলির চালক তথা গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের হারেজ উদ্দীনের ছেলে মজনুর রহমান (৪০), মৃত মুনসাদ আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (৬৫), গেদা আলীর মেয়ে আদুরী খাতুন (৬০), আব্দুল হামিদের ছেলে মারুফ হোসেন (৪০) ও মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের ওফাজ উদ্দীনের মেয়ে সামেনা খাতুন (৫৫)।
আহতদের মধ্যে ট্রলির চালক মজনুর রহমান ও শ্রমিক সামেনা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহতরা সবাই কৃষি ক্ষেতের শ্রমিক। সকালের দিকে তারা ট্রলিযোগে চাঁদপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে কচু তোলার কাজ করতে যাচ্ছিলেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, শ্রমিক বোঝায় ট্রলিটি মেহেরপুর—চুয়াডাঙ্গা সড়ক ধরে যাচ্ছিলো। এসময় মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া রাজশাহীগামী বেপরোয়া গতির বিআরটিসির একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় শ্রমিক বোঝায় ট্রলিটি পার্শ্ববর্তি খাদে উল্টে পড়ে শ্রমিকরা আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এদিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, আহতদের মধ্যে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে।