মেহেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সোনালী ও দেশি মুরগির দাম। প্রতি কেজী সোনালী মুরগীর দাম বেড়েছে ৪০ টাকা, দেশি মুরগীর দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
গতকাল সোমবার মেহেরপুর বড় বাজারের মুরগি বাজারে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি মুরগির বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা এবং বয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, ডিম পাড়া (কর্ক) মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে একই বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা, সোনালী ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং বয়লার ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ডিম পাড়া (কক) মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ কেজি দওে বিক্রি হয়েছে। দিনে দিনে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুরগি বাজার প্রায় ক্রেতা শুন্য দেখা গেছে।
বড়বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো: সাকিব বলেন, আগে খামারিদের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চার পিস ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এখন সেই মুরগির বাচ্চা ৪৫ টাকা । অনেক দাম বেড়ে গেছে সেই কারণে ব্রয়লার এর দাম বেড়ে গেছে। আবার যদি আগের মতো ব্রয়লারের বাচ্চার দাম কমে, খাবারের দাম কমে তাহলে আগের অবস্থায় চলে আসবে।
বড় বাজার মুরগি ব্যবসায়ী ওয়াদুদ বলেন বর্তমানে ব্রয়লার একটু সঙ্কট আছে। বাকি দেশি সোনালী ডিমপাড়া (কর্ক) পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। ব্রয়লারের দাম বাড়ার কারণে বিক্রয়ের পরিমাণ কমে গেছে।
তিনি আরো বলেন, এই বাজারে আনুমানিক ২০টি দোকান আছে এখান থেকে গড়ে প্রতিদিন সোনালি মুরগি ৬০০ কেজি, ডিম পাড়া (কক) মুরগি ২৫০ কেজি, ব্রয়লার ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত বিক্রয় হয়।
এ সময় বাজারে মুরগি কিনতে আসা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি। আমরা গরিব মানুষ কিনে খাব কি করে। আমরা দিনে ৫০০ টাকা উপার্জন করি ২ কেজি মুরগির কিনলে খরচ হয় ৪২০ টাকা। তাহলে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি কিনব কি দিয়ে আর সংসার চালাবো কি করে। হয় চুরি করতে হবে, আর তা নাহলে ডাকাতি করতে হবে বলে তিনি আক্ষেপ করেন।
মমতাজ নামের এক মহিলা ক্রেতা বলেন, আমাদের মত গরিব মানুষদের ব্রয়লার মাংসও জুটবে না। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে মুরগি কেনা নয়, সংসার চালানোয় দায় হবে।