মেহেরপুরের সদর উপজেলার আমঝুপির একটি ভাড়া বাসা থেকে রেশমা খাতুন (৩০) নামের সেনা সদস্যের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।
আজ রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহতের স্বজনদের দাবী রেশমাকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে তার স্বামী সেনা সদস্য মিঠু। এঘটনায় নিহতের স্বজনরা স্বামী মিঠুকে আটক ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেছেন।
নিহত রেশমা মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও একই গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে সেনা সদস্য মিঠু হোসেনের স্ত্রী।
তারা আমঝুপি গ্রামের কারিগর পাড়া এলাকার সামিউল টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়ায় থাকতো।
রেশমার মা আমিনা খাতুন জানান, মিঠুর পরোকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় আমার মেয়েকে মিঠু প্রায় মারধর করতো। প্রতিনিয়ত সে মোবাইল ফোনে কথা বলাতে নিষেধ করতো রেশমা।
তিনি জানান, ৮ দিন আগে সেনা সদস্য মিঠু ছুটিতে বাড়িতে এসে আজকেই ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরার কথা তার।
তবে সকালের দিকে মিঠু তার স্ত্রীর পাশে বসে কান্না কান্নাকাটি করলেও রেশমার বাবার পরিবারের লোকজন আসার সাথে সাথে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের পিতা খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ওই সেনা সদস্য আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী মিঠু। আমার মেয়ে প্রায় দিনেই ফোন দিয়ে তার উপর অকথ্য নির্যাতনের কথা বলেছে আমাদের। আমার জামায় মোবাইল ফোনে পরিকয়া প্রেম করে বলে জানিয়েছিল মেয়ে। রেশমার পরকিয়া প্রেম করতে তাকে নিষেধ করাই মারধর করতো সে।
রেশমার বড় চাচা আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, মিঠু ও রওশানার সম্পর্ক করে বিয়ে করাই মিঠুর পরিবারের লোকজন মেনে নেয়নি। তারা বলতো আজ হোক আর দশ বছর পর হোক রেশমাকে ছাড়িয়ে দেবে। মেয়েটি মৃত্যুর ভয়ে প্রায় কাতর থাকতো। তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও সে আভাস দিয়েছে। এ ঘটনায় মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রেশমার পরিবারের লোকজন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, রেশমার পরিবারের লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে তার মরদেহ।