মেহেরপুর জেলায় ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ পুনরায় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
শনিবার প্রথম দিনে জেলায় ১৩২ জন মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৫০ জন, মুজিবনগর উপজেলায় ৫৭ জন ও গাংনী উপজেলায় ২৫ জন।
আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হবে। মেহেরপুর সদরে যাচাই বাছাই কমিটিতে ছিলেন সভাপতি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা হুময়ুন কবির আরজু, সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন।
গাংনীতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ড. আশরাফুল ইসলাম, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাজনেওয়াজ, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা মুনতাজ উদ্দিন।
মুজিবনগরে ছিলেন, সভাপতি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, সদস্য সচিব উপজেলাস নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হারান ফকির ও মুক্তিযোদ্ধা বরকত আলী।
উল্লেখ্য, জামুকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় (চুড়ান্ত লাল বই) বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত থাকার পরও এবং জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাঁদের নাম ‘বেসামরিক গেজেটে’ প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা কি না, তার যথার্থতা নির্ধারণের জন্য যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাকে যেসব তথ্য দিতে হবে- পিতা-মাতাসহ নিজের নাম, বেসামরিক গেজেট নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এর সময়-কাল, মুক্তিযুদ্ধের আগের ভূমিকা প্রশিক্ষণ গ্রহণের স্থান, অস্ত্র পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য, কোন কোন জায়গায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের নাম, সেকশন কোম্পানি প্লাটুন কমান্ডার কে ছিলেন, কোথায় কি ধরনের অস্ত্র সমর্পণ করেছেন, সেক্টর কমান্ডারের নাম, ভারতে ট্রেনিংরত অবস্থায় দেশ স্বাধীন হলে পরবর্তী ভূমিকা কি ছিল, ভারতীয় তালিকা লাল মুক্তিবার্তায় নাম রয়েছে এমন তিনজন মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যায়ন।