মেহেরপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতিকে বিতর্কিত উল্লেখ করে কমিটি বাতিলের দাবিতে আবারো সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) আব্দুল মালেক।
তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি জামুকার নির্দেশনা না মেনে মেহেরপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্দেশনায় বলা আছে, ভারতীয় তালিকাকে আমলে নেওয়া হয়নি। বিতর্কিত লালমুক্তি বার্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি হলেন মোঃ হুমায়ুন কবির (আরজু) ।
তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তাঁর ভারতীয় প্রশিক্ষন নেই। গত ৩০ জানুয়ারী ২১ ইংং তারিখে যাচাই-বাচায়ে তার নাম এসেছিল। পরে অলৌকিক ভাবে তার নাম বাদ যায়। তখন তাকেই সভাপতি করা হয়েছিল।
ক্ষমতাসীনরা প্রশাসনের সহায়তায় এবারও অনলাইন মুক্তি যোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি হিসেবে হুমায়ুন কবির আরজুকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সভাপতি হয়ে তিনি আবার অনলাইন দরখাস্তকারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে নগদ অর্থ গ্রহণ করেছেন। এ ধরণের দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিতে কিভাবে চলতি যাচাই বাচাই কমিটির সভাপতি করা হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। ‘বানরের কাছে রুটি ভাগ করতে দেওয়া’র মত অবস্থা।
আব্দুল মালেক বলেন, গেল বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে ২২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করি। পরবির্তেতে ২৬ সেপ্টেম্বর আমরা মানবন্ধন করি। তারপরও প্রশাসন অবৈধ কমিটি বাতিল না করে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
গত ২৯ ডিসেম্বর হঠাৎ রাত্রিতে মাইকিং করা হয় যাচাই বাছাইয়ের জন্য। পরদিন জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করি কমিটি বাতিলের জন্য তবুও কমিটি বাতিল না করে আজ ১ জানুয়ারি থেকে যাচাই বাছাই শুরু করা হয়েছে। অচিরেই এই অসৎ, অযোগ্য কমিটি বাতিল করে, সৎ ও যোগ্য কমিটি গঠন করে যাচাই-বাচাই করার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, উমেদীন আলী, আনোয়ার হোসেন, হেকমত আলী, আবু শহিদ, আহাদ আলীসহ ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।