মেহেরপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ স্বামীসহ পরিবারের ৫ সদস্যের উপর। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতনে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অসহায় গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মেহেরপুর সদর থানাসহ কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে বার বার ধর্না দিলেও কোন বিচার পাননি। নির্যাতনের স্বীকার ঐ গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গার নতুন বাজার পাড়ার বাচ্চু ইসলামের মেয়ে।
তবে অভিযুক্ত পরিবারের দাবি তাদের ছেলে বউ বেপরোয়া। পরিবারের কাউকে মানে না। বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে রাখার কারণে তাকে গত জানুয়ারি মাসে তালাক দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর সুবিদপুর মোল্লাপাড়ার উসমান গনির ছেলে আবু সাইদ(৩০) এর সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে ব্যবসার নাম করে আমার বাবার কাছে ২ লাখ টাকা নেয়। মাঝে মধ্যেই কারণে অকারণে আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। না দিলে নির্যাতন করে আমার উপর। বিভিন্ন অযুহাতে পরবর্তীতে আরও ১ লাখ নেয়। সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আমার বাবার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এই টাকা দিতে না পারায় আমার স্বামী আবু সাইদ(৩০) তার বড় ভাই রাহিদুজ্জামান(৩৫) শ্বশুর উসমান গনি(৫২) শাশুড়ি রেহেনা খাতুন(৪৮) দাদা এলাহী বক্স আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। আমাকে তালাক দিতে চাইলে আমি অস্বীকৃতি জানায়। এতে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আবু সাইদ ও তার পরিবারের লোকজন।
এ নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এর প্রেক্ষিতে এসআই আহসান হাবিব শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য বলে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলে সেখানেও আমাকে হেনেস্তা করা হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয়ে আবু সাইদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায় পরে তার বড় ভাই রাহিদুজ্জামানের সাখে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রুবিনা খাতুনকে ৯ মাস আগে তালাক দেওয়া হয়। গতকাল কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু রুবিনা করেনি।
আবু সাঈদ এর বড় চাচা রুপচাঁদ বলেন, রুবিনার অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। সে নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে গেছে। তার চলাফেরা ছিল বেপরোয়া। পরিবারের কারো কথা শুনতো না। বিভিন্ন সময় সংসারে অশান্তি লাগাতো। যে কারণে গত জানুয়ারি মাসে তাকে তালাক দিয়ে তাদের ছেলে।
মেহেরপুর সদর থানার এস আই আহসান হাবিব জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। আমরা পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলেছিলাম কিন্তু পরে উভয় পক্ষ কোন মিমাংসা করেনি।
মেপ্র/এমএফআর