শারীরিক ও বারবার যৌন নির্যাতনের চেষ্টা চালাচ্ছে দেবর। রাতে মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে এমন কথা জানানোর পর সকালে ঘরের আড়ার সাথে মিললো প্রবাসীর স্ত্রী মলিনা আক্তারের (২৩) ঝুলন্ত মরদেহ।
মলিনা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের মেয়ে ও একই উপজেলার আলমপুর গ্রামের প্রবাসী সন্টু মিয়ার স্ত্রী। সে এক সন্তানের জননী।
আজ শুক্রবার (২০ মে) সকাল ১০ টার দিকে তার ঘরের আড়া থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন সদর থানা পুলিশ। মলিনা আক্তারের দুই বছর বয়সী সুমাইয়া খাতুন নামের একটি মেয়ে আছে।
মলিনা আক্তারের মামা জনিরুল ইসলম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী সন্টু মিয়া প্রবাস জীবন যাপন করছেন। গতরাতে মলিনা আক্তার তার মাকে ফোন করে বলেছিল তার দেবর আলামিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করতে পেয়ে আমাকে প্রায় দিন মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করছে। আজ রাতেও সে আমাকে যৌণ নির্যাতনের চেষ্টা করেছে। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও তোমরা।
রাতে কথা বলে সে ফোন রেখেছে। সকালে খবর পেলাম মলিনার মরদেহ ঝুলছে ঘরের আড়ার সাথে। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপতাল মর্গে নেন পুলিশ।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মত্যুর কারন জানা যাবে। তবে, এঘটনার পর মলিনার দেবর আলামিন হোসেন পলাতক রয়েছে।