মেহেরপুরে কৃত্তিম সংকট তৈরি করে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মোবাইল ফোন বিক্রি করছে দোকানদাররা। পাওয়া যাচ্ছে না বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এরুপ নানা অজুহাতে মোবাইল প্রতি ২-৩ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা।
সম্প্রতি রিয়েলমি ফাইভ আই নামক ব্রান্ডের মোবাইলের চাহিদা বেশ তুঙ্গে। অল্প দামে ভালো কনফিগারেশনের এই মোবাইলটি কিনতে ঝুকেছে তরুণ-তরুণীরা। আর এই চাহিদাকে টার্গেট করে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। স্টকে থাকা সত্তেও নির্ধারিত দামে ফোন বিক্রি করছে না তারা। বেশি দাম দিলে তবেই বিক্রিতে রাজি হচ্ছে দোকানিরা। আর সুযোগে ক্রেতাদের কাছে থেকে হাজার হাজার টাকা নিচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
মেহেরপুর শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে এভাবেই বিক্রি হচ্ছে মোবাইল। এছাড়াও গাংনী মুজিবনগরে একই অবস্থা। মেহেরপুর শহরের মোবাইল জোন, মোবাইল বাজার, গাংনীর নেট ফাস্টসহ বিভিন্ন দোকানে দেদারছে চলছে চড়া দামে বিক্রির প্রতিযোগীতা।দন্ডবিধি অনুসারে কোন ব্যক্তি কারো সাথে প্রতারণা করলে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এমনকি উভয় দন্ডও হতে পারে।
আব্দুল হালিম নামের এক ক্রেতা জানান, মোবাইল জোন থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে রিয়েল মি ফাইভ আই কিনেছি। তারপরও তিন চার দিন ধরে ধর্ণা দেওয়ার পর। এ ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আশিক নামের এক ক্রেতার বরাত দিয়ে তারা বাবা জানান, তাঁর ছেলে উপহার হিসেবে আমাকে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে ফোন কিনে আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছে।
মোবাইল জোনের সত্ত্বাধীকারী জীবন বলেন, রিয়েলমি ফোনের চাহিদার তুলনায় স্টক সীমিত। আমাদের ঢাকায় থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
গাংনীর নেট ফাস্টের চপল বলেন, একেক সময় একেক রকম দাম। আগে থেকে অর্ডার দিয়েও মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
মোবাইল স্টেশনের সত্ত্বাধীকারী কার্জন আহমেদ বলেন, মেহেরপুরে মোবাইল ব্যবসা নষ্ট করার জন্য এরকম কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চড়া দাম হাকাচ্ছে। আমি এ পর্যন্ত যতগুলো রিয়েলমি বিক্রি করেছি সবগুলো নির্ধারিত মূল্যেই। অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা মার্কেটিং অফিসার জীব্রাইল হোসেন বলেন, এ রকম কোন ঘটনা যদি ঘটে তাহলে ভোক্তা অধিকারে শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
মেহেরপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা সজল আহমেদ জানান, ভোক্তা অধিকার আইনে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদি মূল্য বেশি নেওয়া প্রমাণিত হয় তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।