মর্তুজা ফারুক রুপক
মেহেরপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতার হার বাড়ছে। গতকয়েক বছরে প্রায় ডজন খানেকেরও বেশি শিক্ষার্থীর জীবন অকালে ঝরে গেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেশি। পরীক্ষায় অকৃতকার্য, পারিবারিক কলহ, প্রেম ঘটিত জটিলতা সহ বিভিন্ন কারণে বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। স্বইচ্ছায় নিজেকে হত্যা করার প্রবণতা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পাল্লায় ভারি। ৫ম শ্রেণি থেকে শুরু করে কলেজে পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী ছোট বড় কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমন ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শহরের তুলনায় গ্রামের ছেলে-মেয়েদের মাঝে এই প্রবনতা তুলনামূলক বেশি। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের ৫ম শ্রেণিতে পড়–য়া নাজমা খাতুন তার মায়ের উপর অভিমান করে বিষ পানে আত্মহত্যা করে। প্রাথমিকে পড়া একটা মেয়ে জীবনের মানে কতটুকুইবা জানে, হইতো সে শুধু জানে বিষ খেলে মানুষ মারা যায়। ক্ষনিকের অভিমান সহ্য করতে না পেরে মরতে হলো তাকে অকালেই। মেহেরপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডবাসী দিন মোহাম্মদের মেয়ে দিপা খাতুন, বলি হলো তার পরিবারের কারণে। সরকরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পরিবারের চাপে তার বিয়ের আংটি বদল হয়ে যায় এটিই তার জন্য কাল হয়ে দাড়ালো। মেহেরপুর পৌর এলাকার মন্ডল পাড়ার কলেজে পড়–য়া ফাতেমা জান্নাত ঝিলিক প্রেম ঘটিত কারণে সুইসাইড নোট লিখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে, রঘুনাথপুরের সুমি খাতুন, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে আল্পনা খাতুন, গাংনীর মোহাম্মদপুর গ্রামের তবিরুলের মেয়ে সিনথিয়া খাতুন, মানিকদিয়ার মুন্তাজ আলীর মেয়ে শারমিন খাতুন পারিবারিক বিভিন্ন কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে পরিবারের কিংবা সমাজের তোপের মুখে পড়ে ঝরে গেছে অনেক