মেহেরপুরে তীব্র শীতের মধ্যে ভোগাচ্ছে লোডশেডিং। শীত মৌসুমেও বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকলেও দিনের বিভিন্ন সময় দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। গত কয়দিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে দিনের একাধিক সময়। ফলে শীতের দিনে বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে মেনে নিতে পারছেন না জনসাধারণ। একই সঙ্গে শিল্পকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও এর প্রভাব পড়ছে।
শহরের ফটোকপি দোকানি পাপ্পু হোসেন জানান , শীতের সময় যে এইভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে এইটা কখনোই ভাবিনি। কম্পিউটারের টাইপিং চলতে চলতে লোডশেডিং দিচ্ছে সে কারণে পুনরায় আবার নতুন করে টাইপিং করতে হচ্ছে। আবার ফটোকপি করতে করতে লোডশেডিং হচ্ছে সে কারণে ফটোকপি মেশিনের ভিতরে কাগজ আটকিয়ে বারবার মেশিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদের ফটোকপি করতে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে। আমরা অনেক বিপর্যয়ের ভিতর আছি।
মেহেরপুরের রিংকু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের স্বত্ত্বাধিকার রিংকু হোসেন বলেন, মেশিন চালাইতে চালাইতে যখন লোডশেডিং হয় বাটালি ভেঙে যায় এবং মেশিনের বিভিন্ন ধরনের পার্টস এর ক্ষতি হয়। শীতের সময়ও এইভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়াতে আমরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি।
মেহেরপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জেল হোসেন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, মেহেরপুরে আবাসিক ও বাণিজ্যিক মিলে ওজোপাডিকোর গ্রাহক সংখ্যা ১৯ হাজার। বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৫ মেগাওয়াট কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৪ মেগাওয়াট। ফলে শীত মৌসুমেও তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ চাহিদার সময়ে লোডশেডিং দিয়ে পোষাতে হচ্ছে।
বিদ্যুতের ঘাটতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা সরবরাহকারী মাত্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্র আমাদেরকে যেভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আমরা বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা হিসেবে সেই ভাবেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাচ্ছি।