মেহেরপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ঘনকুয়াশা আর হাড়হীম শীতে সাধারণ মানুষ একরকম গৃহবন্ধী। তবুও জীবন জীবীকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই যবুথবু হয়ে কর্মে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই শীত নিবারনে রাস্তা ও পাড়া মহল্লায় আগুন পোহাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ স্বল্প দামে গরম পোষাক কেনার জন্য ছুটছেন ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানে। এদিকে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে সহায়তা প্রদানের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সরকারী বেসরকারী সংস্থার। ঠান্ডা জনীত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা। ঠাঁই নিয়েছেন হাসপাতালে ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯শতাংশ।
মুজিবনগর সড়কের অটোচালক কাশেম জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ত শীত হওয়ায় রাস্তায় নামতে পারিনি। এক সপ্তাহ বাড়িতে বসে আছি আর পারছিনা। তাই প্রচন্ত শীতে আজকে আবার ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি।
মোনাখালী গ্রামের দিনমজুর আমিন জানান, কনকনে শীতে শরীর ঢেকে রাখলেও হাত দিয়ে ক্ষেত খামারে কাজ করতে হচ্ছে। কাজ করতে না পেরে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।