মেহেরপুরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয় উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে করা শোকজের উত্তর দিয়েছেন ডা. অলোক কুমার দাস এবং ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা।
আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা এবং দুপুর ১২ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধানী কমিটিতে হাজির হন। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের কাছে তারা শোকজের উত্তর দিয়েছেন।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ‘শোকজে উল্লেখিত ভোট চওয়ার ঘটনাটি ডা. অলোক কুমার দাস অস্বীকার করেছেন। প্রফেসর আব্দুল মান্নান কে ভারতের দালাল বলেছেন এ কথাটাও তিনি অস্বীকার করেছেন। ‘
প্রফেসর মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এ সময় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির নিকট অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণাদি দাখিল করেন।
অপরদিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের খাস কামরায় নৌকার পক্ষে ভোট করার গোপন সভার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একই সাথে তার কথা বলার ক্ষেত্রে কোন ভুল থাকলে সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এ সময় তিনি মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন নিজেই ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে গেছেন এমন একটি ভিডিও ফুটেজের অংশবিশেষ দাখিল করেছেন। এ সময় অভিযোগকারী নারী মেম্বার রহিমা খাতুন দুজন সাক্ষীসহ কমিটির চেয়ারম্যান এর কাছে সাক্ষ্য দেন।
জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডা. অলোক কুমার দাসের উত্তর এবং প্রফেসর মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজন আলীর প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে সেগুলো নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। এবং ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের দাখিল করা সিসিটিভি ফুটেজের অংশটি কম্পিউটারের মনিটর থেকে মোবাইলে ধারণ করা। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সরজমিনে সেখানে সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজটি দেখার পর নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠাবে।
উল্লেখ্য গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করায় একজন নারী মেম্বারকে লাঞ্ছিত করার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম রেজাকে শোকজ করেন। অপরদিকে সরকারি চাকরিবিধি লংঘন, নৌকার প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানকে ভারতের দালাল বলার লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে শোকজ করেন।