মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলাগ্রামের বাবু পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালীন জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে এক নৌ সদস্য মারা গেছেন। তাঁর নিজের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া মারা গেছেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল কোলা গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন ঘোষনা করে।
এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে তাকে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তার করোনা উপসর্গ দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়নি। পরে একটি বেরসকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে বিভিন্ন ভাবে খোজ নিলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানান, তাদের জামাই ৬ মাস আগে বিদেশ থেকে মিশন শেষ করে বাড়ি এসেছেন। কয়েকদিন আগে এখানে বাড়িতে আসে। তার আগে থেকে লিভারের অসুখ ছিল। বুধবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায়।
এদিকে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার জানান, বুধবার রাতে মেহেরপুর থেকে নৌ বাহিনীর এক সদস্য জ্বর, কাশির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসলে আমরা তাকে ভর্তি না নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নেয়ার কথা জানায়। পরে আজ শুনি তিনি মারা গেছেন।
এদিকে, আমাদের আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে জানান, নৌ বাহিনীর ওই সদস্যর অলসার রোগ ছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে মারা যায়। শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, আমরা ওই নৌ সদস্যর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার শ্বশুরবাড়িতে পুলিশ পাঠায়। সেই বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করেছি। তবে আগামিকাল ছাড়া নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না কি কারণে মৃত্যু হয়েছে।