ভ্যান চালককে পেটানোর জের ধরে মেহেরপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী শামীম হোসেন (৩৫) কে বাটাম দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটালো ভ্যান চালকের আত্মীয় স্বজন। শামীম হোসেন মেহেরপুর জেলা কারাগারে কর্মরত।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকাল ৫ টার দিকে মেহেরপুর ওয়াপদা মোড় বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শামীম হোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলেও সাংবাদিকদের থেকে ঘটনা আড়াল করতে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকালের দিকে সদর উপজেলার বেলেপাড়া এলাকার বিমশারথ আলীর ছেলে ভ্যান চালক মোশাররফ হোসেন তার আত্মীয়কে বাসে তুলে দিতে ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এসময় টিকিট কাউন্টারের বাস সালিক সমিতির দুই শ্রমিকের সাথে মোশাররফের বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাস মালিক সমিতির ওই দুই শ্রমিক গ্যান্ডারি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ভ্যান চালক মোশাররফকে। পরে খবর পেয়ে মোশাররফ হোসেনের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। বাস মালিক শ্রমিকের লোকজনের সাথে আহত ভ্যান চালকের লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়।
এসময় কারারক্ষী শামীম হোসেনসহ কয়েকজন কারারক্ষী শ্রমিকদের সাথে যোগ দিয়ে ভ্যান চালক মোশাররফ হোসেনের লোকজনকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন বেঞ্চের ভাঙ্গা বাটাম দিয়ে শামীম হোসেনের মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
খবর পেয়ে সাংবাদিকরা হাসপাতালে গেলে উপস্থিত কয়েকজন কারারক্ষী সাংবাদিকের সাথেও অশালিন আচরন এবং স্ংবাদ লিখলে অসুবিধে আছে বলে হুমকী দেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা এ অভিযোগ করেন।
এঘটনায় স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়নের সদস্য কুতুব উদ্দীন বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কারারক্ষী শামীম হোসেনকে মাথাফাটা অবস্থায় ও ভ্যান চালক মোশাররফ হোসেনকে হাসপাতালে আহতাবস্থায় পেয়েছি।
কারারক্ষী শামীম হোসেনসহ কয়েকজন কারারক্ষী একজন নারী বন্দিকে বাসে তুলে দেওয়ার জন্য ওয়াপদা মোড় বাসস্ট্যান্ডে এসেছিলেন।
আহত ভ্যান চালক মোশাররফ বলেন, আমি আমার আত্মীয়কে বাসে তুলে দিতে গিয়ে বাস মালিক সমিতির শ্রমিকদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। খবর পেয়ে আমার লোকজন আসলে দ্বিতীয় দফায় শ্রমিকের লোকজনের সাথে যোগ দিয়ে কারারক্ষীরা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। আমি মামলা করবো।