মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপিতে ফার্ণিসার্স বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় সিঙ্গাপুর প্রবাস ফেরৎ লাল্টি হোসেন (৩২) নিহত ও তার অপর বন্ধু সৌদি প্রবাস ফেরৎ মিনারুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের সদর উপজেলার আমঝুপি বিএডিসি তৈল বীজ খামারের নিকট এই দঁর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাল্টু হেসেন গাংনী উপজেলার কচুইখালি জুগিন্দা গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে। আহত মিনারুল ইসলাম একই গ্রামের জামাল শাহ’র ছেলে। আহত মিনারুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক বলে তার পরিবার জানিয়েছেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শি জানান, মোটরসাইকেল যোগে হতাহতরা বারাদি থেকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। আমঝুপি বিএডিসি তৈল বীজের প্রথম ফটকের কাছে পৌছানো মাত্রই বিপরীত দিক থেকে আসা ফার্নিসার্স বোঝাই একটি ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক লাল্টু হোসেন মারা যান। এঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, নিহতের মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
রাস্তার উপর নিহতের মাথার খুলি ও মগজ পড়ে আছে। দুটি গাড়ি দ্রুত গতিতে চলছিলো বলে জানান তারা। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত লার্টু হোসেন ও আহত মিয়ারুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর আব্দুস সামাদ জানান, লার্টু হোসেন সিঙ্গাপুর এবং মিনারুল ইসলাম সৌদি আরবে ছিলেন। তারা দুজনেই সম্প্রতি দেশে এসেছিন।
অল্পদিনের মধ্যেই তারা দুজনেই বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি এলাকার মানুষের মাঝে শোক নিয়ে এসেছে। তিনি আরও জানান, নিহত লিটন হোসেনের বড়ভাই আব্বাছ আলী (৩৫) গত তিন মাস আগে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর নামক স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একই সড়কে নিহত হলেন আপন দুই ভাই।