মেহেরপুরে সফল জননী নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের মৃত কোবাদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ নহরজান খাতুন।
গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্যোগে রোকেয়া দিবস পালন ও সফল জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদানের সময় এ সন্মাননা ক্রেস্ট তার হাতে তুলে দেয় জেলা প্রশাসক শামীম হাসান ।
জয়িতা অকন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সংবর্ধনা, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেহেরপুর জেলায় সফল জননী নির্বাচিত হন গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে মোছাঃ নহরজান খাতুন।
নহরজান খাতুনের স্বামী কোবাদ আলী ১৯৯৬ সালে মৃত্যু বরণ। তারপর তিনি ৭ পুত্র ও ৩ কন্যাকে অত্যাধিক বিচক্ষণতা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে সু-নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়িকে নীজ পিতা মাতার ন্যায় দেখভাল করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে হজ্জ পালন করেছেন।
নহরজান খাতুনের সন্তানদের মধ্যে বড় সন্তান আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত, কন্যাদের মধ্যে বড় নাসিমা খাতুন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুত্র আইনুল হক বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে সুইডেনে নাগরিকত্ব অর্জন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। আলমগীর হোসেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় সিনিয়র স্টাফরিপটার হিসেবে কর্মরত। ছোট পুত্র ইঞ্জিনিয়ার জিল্লুর রহমান বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সর্ব কনিষ্ঠ কন্যা তাসলিমা আক্তার ৪১ তম বিসিএস ননক্যাডারে কর্মকর্তা হিসেবে চলতি বছরে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সন্তানেরা সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন। সন্তানেরা কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে।
নহরজানের সফল মাতৃত্বের ছায়াতলে এই পরিবারটি এলাকার মধ্যে একটি আদর্শ পরিবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।