মেহেরপুরে কিছুদিন আগেও সবজির দাম ছিল লাগামহীন। চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারতেন না ক্রেতারা। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। তবে এখন স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। দাম কমায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য মতো সবজি কিনতে পেরে খুশি।
সপ্তাহন্তে কমেছে মরিচ, রসুন ও আদার দাম। কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী আলু ও পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর বড় বাজারের আড়ৎ ও কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কমেছে দাম। গত এক সপ্তাহ ধরে সব সবজির দাম বিগত অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে শাকসবজি বিক্রি করছেন তারা।
বাজারে আলুর কেজি ৫৩ থেকে ৫৭ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৪৮ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি বেগুন এখন ৬০ টাকা কেজি, লাউ কেজিতে ৫০ টাকা, কলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কেজি ও গাজর প্রতি কেজি ২ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মুলা কেজিতে ৪০ টাকা, পালং শাক ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, টমেটো ২ শত টাকা এবং লেবু হালিতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২ শত টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৩ শত টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫ শত টাকা কেজি দরে। সপ্তাহন্তে মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা।
স্থিতিশীল রয়েছে মাছ ও মাংসের বাজার। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা। এক থেকে ঢেড় কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছের দাম প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। রুই মাছ ছোট সাইজের বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, গ্লাস কাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩ শত টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া, বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২ শত টাকা কেজি দরে।
বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে।
কাঁচা বাজারের বাজার করতে আসা মল্লিক নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন পর বাজার করতে এসে আজকে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। সকল পন্যের দাম অনেকটা সহনীয়।
আরেক ক্রেতা মোঃ আনোয়ার বলেন, কিছুদিন আগেও ১ হাজার টাকা নিয়ে সবজি বাজারে ঢুকলে চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারিনি। এখন সব সবজির দাম কিছুটা কমেছে, ইচ্ছে মতো সবজি কিনতে পারছি।
সবজি ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। বাজারে সবজির সরবরাহ হয়েছে। ফলে দাম কমে গেছে। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, আর কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রয় করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, কেজি প্রতি শিম ১০০, বেগুন ৬০, কলা ৬০, ফুলকপি ৬০, মুলা ৪০, পালং শাক ৬০ টাকাসহ সব সবজির দাম কমেছে। বাজারে শীতকালীন প্রায় সব সবজিই উঠেছে। সবজি বাজার এখন ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।