মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামে স্ত্রীর প্রেমিককে স্বামী রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে ডেকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় , চকশ্যামনগর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে রবিউল (২৫) এর স্ত্রীর সাথে একই গ্রামের মৃত হিসাব আলীর ছেলে ইজহারুল (৪৫) এর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল রাতে রবিউল ইসলাম দোকান থেকে বাসায় যায়। বাসায় পৌঁছিয়ে স্ত্রীর সাথে রবিউলকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখে হেসো দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে যখম করেছে।
এ সময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডিউটিরত ডক্টর জানান, ইজহারুল ইসলামের মাথার ডান দিকে ভিতরে ও বাহিরে মিলে ১২ টি ও ডান হাতে ৯ টি মোট ২১ টি সেলায় হয়েছে এবং এখন তিনি সুস্থ আছেন।
এই বিষয়ে আহত ইজারুল হক মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, আমি কলার ব্যবসা করি, রবিউল আমার লেবারি করে, আমি ওর কাছে কিছু টাকা পেতাম যা দেওয়ার নাম করে আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে বাড়িতে আসতে বলে, আমি বাড়িতে গেলে বসতে যাইগা দেয়, আমি রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী এক সাথে বসে আছি। হঠাৎ রবিউল বাইরে চলে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে হেসো হাতে করে ঘরে ঢুকে আমাকে বলে তুই আমার স্ত্রীর গায়ে হাত দিলি কেনো, এখন তুই ২০,০০০ টাকা দে না হলে ছাড়বো না গ্রামের মানুষ ডাকবো।
এ সময় আমি তাকে বলি টাকা কি পড়ে আছে নাকি, যে তুই চাইবি আর তোকে দিয়ে দিবো আমি, এমন এক কথায় দু কথায় আমাকে হেসো দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপাতে থাকে। এ সময় আমার চিল্লাচিল্লিতে আসেপাশের মানুষ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ শাহ দারা খান মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি, যদি আমাদের কাছে অভিযোগ আসে তবে এর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।